ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে যা যা প্রয়োজন
যে জাতীয় পরিচয়পত্র টি ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন তার কিছু তথ্য ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে প্রয়োজন হবে। আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন তা নিচে উল্লেখ করা হলো-
✅ NID Number অথবা ফরম নাম্বার✅ জন্মতারিখ (দিন, মাস, বছর)
✅ মোবাইল নাম্বার
✅ ঠিকানা
✅ আইডি কার্ডের মালিক
উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্টগুলো আপনার কাছে থাকলে আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার জন্য প্রস্তুত। যেহেতু ফেস ভেরিফিকেশন করার প্রয়োজন হবে তাই যার ভোটার আইডি কার্ড সে ব্যতীত একাউন্টে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না।
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য সরকারি ওয়েবসাইট https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/claim-account ভিজিট করে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার অথবা ফরম নাম্বার ও জন্ম তারিখ লিখুন। তারপর সিকিউরিটি ক্যাপচা ও ফেইস ভেরিফিকেশন করে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন। প্রোফাইলে লগইন হলে ড্যাশবোর্ড থেকে “ডাউনলোড” অপশনে ক্লিক করে আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন।
জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড অপশনে পৌঁছানোর আগে কয়টি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ধাপ গুলো হচ্ছে - একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন, ঠিকানা যাচাই, মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন, ফেস ভেরিফিকেশন। যার পর্যায়ক্রমে নিম্ন দেওয়া হলোঃ-
Step-1: একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন
একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন services পোর্টাল যেতে হবে। ভিজিট করুন https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই লিংকে। তারপর অ্যাকাউন্ট নেই? এই সেকশন থেকে “রেজিস্টেশন করুন” বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
NID তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করুন
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য রেজিষ্টেশন ফরম পূরণ করতে হয়। নতুন এনাইডি কার্ড করার আবেদনে যেরকম তথ্য দিয়েছেন এখানে সে আনুসারে ফরম ফিলাম করতে হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর / ফর্ম নম্বরঃ ১ম শূন্যস্থানে ভোটার স্লিপ নাম্বার অথবা আইডি কার্ডের নাম্বার পূরণ করুন। ভোটার স্লিপে ৮ সংখ্যার শুধু নাম্বার থাকলে ফরম নাম্বারের আগে NIDFN যুক্ত করে ব্যাবহার করতে হবে। ধরুন আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফরম নাম্বার 96587421 এখন আপনি এটি NIDFN96587421 এভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর / ফর্ম নম্বর ঘরে প্রবেশ করাবেন।
জন্ম তারিখের ঘরে জন্ম তারিখ বাছাই করতে হবে। জন্ম তারিখ ভোটার আবেদনে যা দিয়ে ছিলেন তাই দিতে হবে। আপনার জন্ম তারিখ সিলেক্ট করার জন্য জন্ম তারিখ, জন্ম মাস এবং জন্ম সাল বাছাই করুন।
আপনার আইডি কার্ডের তথ্য সঠিক ভাবে ইনপুট করা হলে, সবশেষে একটি সিকিউরিটি কেপচা পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। সাবমিট করার পর নতুন একটি পেজ ওপেন হবে।
Step-2: ঠিকানা যাচাই করুন
ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা যাচাই করার জন্য ব্যক্তির বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা সঠিক দিতে হবে।
বর্তমান ঠিকানাঃ জাতীয় পরিচয় পত্রের আবেদনে বর্তমান ঠিকানা যেটি দিয়েছিলেন সেই ঠিকানা এখানে প্রদান করুন। বর্তমান ঠিকানা ১.বিভাগ, ২.জেলা, ৩.উপজেলা নির্বাচন করে দিতে হবে।
স্থায়ী ঠিকানাঃ জাতীয় পরিচয় পত্রের আবেদনে বর্তমান ঠিকানা যেটি দিয়েছিলেন সেই ঠিকানা এখানে প্রদান করুন। বর্তমান ঠিকানা ১.বিভাগ, ২.জেলা, ৩.উপজেলা নির্বাচন করে দিতে হবে।
আপনার ঠিকানা সঠিক ভাবে দেয়া হয়ে গেলে ফরমটির শেষের দিকে “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করুন। আপনার প্রদত্ত ঠিকানা সঠিক হলে আরো একটি নতুন পেজে নিয়ে যাবে মোবাইল নাম্বার বা ইমেইল ভেরিফিকেশনের জন্য।
Step-3: মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই
আপনার ভোটার আইডি কার্ডে যে নাম্বার দিয়েছিলেন এখন এই নাম্বারটি ভেরিফিকেশন করতে হবে। Mobile Number verification করার জন্য আপনার ফোন নাম্বারের প্রথম এবং শেষ কিছু আংশ দেখতে পাবেন। নাম্বারটি আপনার কাছে থাকলে “বার্তা পাঠান” বাটন চাপুন।
প্রদর্শিত মোবাইল নাম্বর আপনার না হলে বা কোন নাম্বার প্রদর্শিত না হলে “মোবাইল পরিবর্তন” অপশন সিলেক্ট করুন। তার পর আপনার একটি সচল মোবাইল নাম্বার দিয়ে বার্তা পাঠানে চাপুন। তারপর nid server থেকে আপনার ফোনে একটি মেসেজ পাঠাবে, যাতে ৬ সংখ্যার একটি OTP Code থাকবে।
Step-4: OTP Submit
একাউন্ট রেজিস্টেশনের এই ধাপে OTP এর মাধ্যমে ফোন নাম্বার যাচাই করতে হবে। এটি জাতীয় পত্র যাচাই করার একটি মাধ্যম কারন ভোটার আইডি কার্ডের প্রকৃত মালিকের কাছেই এই নাম্বার থাকে। আপনার মোবাইল ফোনে অটিপি চলে আসলে যাচাইকরন কোডের ঘরে ইনপুট করুন।
৬০ সেকেন্ড অপেক্ষা করার পরেও যদি আপনার ফোনে কোন প্রকার ভেরিফিকেশন কোড না আসে তা হলে আরো একটি নতুন OTP Code এর জন্য “পুনরায় পাঠান” এই বাটনে ক্লিক করতে হবে। তার পরেও যদি কোন কোড না আসে তা হলে আপনার অন্য আরেকটি নাম্বার ব্যাবহার করে দেখতে পারেন। মাঝে মাঝে সার্ভারের সমস্যা কিংবা মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যার কারনে এমন হতে পারে।
আশাকরি আপনার মোবাইলে ৬ সংখ্যার OTP চলে এসেছে। OTP Submit ঘরে আপনার মোবাইলে পাওয়া ৬ সংখ্যার OTP কোড দিয়ে “বহাল” অপশনে চাপুন। এর পরেই একটি গুরুত্বপূর্ণ পেজে আপনাকে নিয়ে যাবে। যেখানে যার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা হবে তার ফেস ভেরিফিকেশন করতে বলা হবে।
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে Face Verification করুন
জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে ফেইস ভেরিফিকেশন (Face Verification). এই পর্যায়ে আইডি কার্ডের মালিক নিজে উপস্থিত থাকতে হয়। NID Wallet App ব্যাবহার করে ব্যক্তির ফেস ভেরিফিকেশন করা হয়।
এ জন্য Play Store থেকে Nid Wallet অ্যাপ আপনার মোবাইলে ইন্সটল করে নিতে হবে। অ্যাপ ইন্সটল হয়ে গেলে তা ওপেন করতে হবে। তারপর কেমেরা চালু করার পারমিশন চাইবে, সব কিছু ঠিক করে সফটওয়্যার চালু হলে, QR Code স্ক্যান করার জন্য কেমেরা চালু হবে। ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত QR Code মোবাইল দিয়ে nid wallet app দিয়ে স্ক্যান করলে ফেস করে ফেস ভেরিফিকেশন অপসন প্রদর্শন হবে।
আইডি কার্ডের মালিক Face Verification করার সময় ব্যক্তির চোখের পলক এবং মাথা ডানে-বামে নাড়াতে হয়। যা ভেরিফিকেশন সফটর কমান্ড দিবে এবং ব্যক্তিকে সনাক্ত হয়ে গেলে OK বাটনে প্রেস করলে অটোমেটিক ভাবে আপনার প্রোফাইল পেজ ওপেন হবে। এবং অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার জন্য আনুমোদন দেয়া হয়। প্রোফাইল পেজের নিচের দিকে ডাউনলোড লেখার উপর ক্লিক করলে এনআইডি কার্ডটি ডাউনলোড হয়ে যাবে। এভাবে আপনি সহজেই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারেন।
যদি প্রক্রিয়া টি আপনার কাছে কঠিন মনে হয় তাহলে যে কোন কম্পিউটার সপ বা আমাদের সাগর ষ্টুডিও দিগরাজ যোগাযোগ করতে পারেন।
- 🏠 Our Shop Address::Digraj Super Market (2nd Floor)Digraj Bazar, Mongla, BagerhatMobile / Telephone:
📞 মোবাইল: +88 01719 392876 💬 +88 01719 392876
Email: ✉️ sstudio2001@gmail.com
Website: 🌐 sstudioshop.blogspot.com

0 মন্তব্যসমূহ